কালিবঙ্গন বলতে কি বোঝেন ?
কালিবঙ্গন হল সিন্ধু সভ্যতার অন্তর্গত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান, যা ভারতীয় উপমহাদেশে ২৯০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বিদ্যমান ছিল। কালিবঙ্গন শব্দটি পাঞ্জাবি ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ হল “কালো চুরি”। এই স্থানে খনন করার সময় প্রচুর পরিমানে কালো চুরি পাওয়া গিয়েছিলেন। এখানে পাঞ্জাবি লোকের কাছাকাছি অবস্থান থাকায় এই স্থানের নামটি পাঞ্জাবি ভাষায় “কালিবঙ্গন” রাখা হয়েছে।
এটা কোথায় অবস্থিত ?
এটি বর্তমানে ভারতের রাজস্থান রাজ্যের হনুমানগড় জেলায় ঘাগর নদীর তীরে অবস্থিত। প্রাচীন কালের বৈদিক গ্রন্থে এই নদীকে স্বরস্বতী নদী বলে মনে করা হয়।
অতিরিক্ত তথ্য :
- প্রথমত ইতালীয় পন্ডিত লুইজি পিও টেসিটোরি (Luigi Pio Tessitori) ২০ শতকের প্রথম দিকে (১৯১৬-১৯১৯ এর কাছাকাছি) কালিবঙ্গনের প্রাক-ঐতিহাসিক স্থানটি খুঁজে পান। পরে, ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক অম্লানন্দ ঘোষ (Amlanand Ghosh), যিনি এটিকে একটি প্রধান হরপ্পা সভ্যতার কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন ।
- কালিবঙ্গনের খননগুলি সিন্ধু সভ্যতার নগর পরিকল্পনা, স্থাপত্য এবং বস্তুগত সংস্কৃতির মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেছে।
- এখানে হরপ্পান সংস্কৃতি এবং প্রোটো হরপ্পান সংস্কৃতির উদ্ভব দেখা যায়। এর মানে কালিবঙ্গনটি হরপ্পান সভ্যতার আগেও বিদ্যমান ছিল।
- কালিবঙ্গনের খনন গুলিতে লাঙ্গল দিয়ে চাষ করা জমির প্রমান পাওয়া যায় এবং এটিকে ভারতের প্রাচীনতম লাঙ্গল খেত বলা যায়।